নোয়াখালীতে পরিবেশ বিপর্যয়ের বড় কারণ অবৈধ ইটভাটা। এসব ভাটায় কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ফসলী জমি ও বসতি ঘিরে গড়ে ওঠা এসব ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়ায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি বাড়ছে রোগব্যাধি। এগুলো বন্ধে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই নোয়াখালীতে দেদারছে চলছে শতাধিক অবৈধ ইটভাটা। সুবর্ণচরে ১৭টির মধ্যে ১৩টি চলছে অবৈধভাবে। হাতিয়ায় ২০টি ইটভাটার সবগুলোই অবৈধ। এসব ভাটায় আছে অবৈধ করাতকলও। পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ভারী যানবাহন চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। বিষাক্ত ধোয়ায় ফসলের ক্ষতির পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করেই চলছে এসব অবৈধ ইটভাটা।মাঝে মধ্যে দুই-একটি অভিযান চললেও তাকে লোক দেখানো বলছেন স্থানীয়রা।
বৈধতা না থাকার কথা স্বীকার করেছেন কোন কোন ভাটার মালিক।
অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর হুশিয়ারি থাকলেও অজানা কারণে নিরব নোয়াখালীর পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে শিগগিরই অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে দ্রুত অবৈধ ইটভাটা বন্ধের দাবি নোয়াখালীবাসীর।
আপনার মতামত লিখুন :