চুয়াডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে ৮ ইটভাটা মালিককে মামলা দায়েরপূর্বক ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন ইটভাটায় এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম। গতকাল বুধবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস।
জানা গেছে, পরিবেশ সুরক্ষা ও বায়ু নিয়ন্ত্রণে চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তর জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৮ ইটভাটা মালিককে বিভিন্ন অনিয়মে ১৯ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এরা হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের এএমবি ব্রিকস (ফিক্সড) মালিক আব্দুল মজিদকে ৩ লাখ, একই উপজেলার হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গা এলাকার এসকেএস ব্রিকস (জিগজ্যাগ) মালিক সিরাজুল ইসলামকে সাড়ে ৩ লাখ, একই এলাকার সান ব্রিকস (১২০ ফুট) মালিক কাউসারকে আড়াই লাখ, উসমানপুর এলাকার এস+এস ব্রিকস (জিগজ্যাগ) মালিক শাহাজাহানকে ১ লাখ, একই এলাকার এজিকে ব্রিকস (১২০ ফুট) মালিক গাফফার ফারাজীকে ২ লাখ, পারদূর্গাপুর এলাকার এমএসবি ব্রিকস (রূপান্তরিত জিকজ্যাগ) মালিক একলাসকে ৩ লাখ, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা এলাকার স্কাই ব্রিকস (জিকজ্যাগ) মালিক বাবুল হোসেনকে ২ লাখ ও একই এলাকার সনি ব্রিকস (১২০ ফুট) মালিক জাহাঙ্গীর আলমকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে হাটবোয়ালিয়া হাটুভাঙ্গা এলাকার সান ব্রিকস, কুমারী ইউনিয়নের এএমবি ব্রিকস ও উসমানপুর এলাকার এজিকে ব্রিকসে অর্থণ্ডের পাশাপাশি কাঁশা ইট ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস জানিয়েছেন, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধনী-২০১৯) লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নিয়মিত পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অংশ হিসেবে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ৮ ইটভাটা মালিকের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক ১৯ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রাক্টর ও স্কেভেটর দিয়ে কাঁচা ইট ভেঙে দেয়া হয়েছে। আদায়কৃত অর্থ ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়া হয়েছে।
অভিযানে অংশ নেন চুয়াডাঙ্গা পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট নরেশ চন্দ্র বিশ্বাস, পরিদর্শক (প্রসিকিউটর) নাইম হোসেন, জেলা পুলিশ ও আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :