কুয়াশার চাদরে মোড়ানো বগুড়ার সোনাতলা পুরো উপজেলা সেই সাথে বেড়েছে শীতের তীব্রতা তবে গত দু'দিনে কোনো রকম দেখা মেলেনি সূর্যের। ঘনকুয়াশা ও প্রচন্ড শীতে এ এলাকার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে উপজেলার চরাঞ্চলের কিছু খেটে মানুষ সকালে খরকুটা জ্বালিয়ে শীত মোকাবেলা করছে বলে জানান তারা।
ঘনকুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় দিন আনী দিন খাই এসব মানুষেরা পড়েছে চরম বিপাকে। তবে শীতার্তদের মাঝে সরকারি, বেসরকারি, রাজনৈতিক সংগঠন, ব্যাংক সহ ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন সংস্থা শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা অব্যহত রয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্স চালক শফিকুল ইসলাম বলেন, গত ক'দিন প্রায় রাতেই রোগী নিয়ে বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছি তবে ফেরার পথে কুয়াশায় দু-হাত দুরে যানবাহন চোখে পরেনা। রেল-স্টেশন সুত্রে জানাগেছে প্রতিটি ট্রেন ঘনকুয়াশার কারণে সাস লাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। তবে প্রতিদিনের মতো বগুড়াগামী যাত্রীদের উপছে পড়া ভিড় গতকাল সকালে কলেজ ট্রেনটিতে ছিল না। যদিও বেলা বাড়ার সাথে সাথে যাত্রী কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় রেলওয়ে স্টেশনে।
রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার খলিলুর রহমান জানান, প্রচন্ড কুয়াশায় ট্রেন চলাচল কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, শিশুদের শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেড়েছে। সেই সাথে শ্বাসকষ্ট রোগে ভোগা রুগিদের রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে গায়ে গরম কাপড় পরিধান করা সহ সতর্ক থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মো. মোস্তফা কামাল বলেন, কিছুদিন আগে এ অঞ্চলের পোষ্য ছাগলকে রোগ প্রতিষেধক ভ্যাকসিন বিনা মূল্যে দেওয়ায় তারা নিরাপদ। খামারীদের গরু বাছুরদের শীত নিবারণের পরিবেশ সৃষ্টি করা সহ খুদ, ভাত, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় খাদ্য পরিহার করার পরামর্শ তার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রিফাউল আজম জানান, এ উপজেলায় দু'দফায় সারে পাঁচ লাখ টাকার বরাদ্দ এবং ৩ হাজার ৩'শ পিচ কম্বল বিভিন্ন ইউনিয়নের শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তবে বালুয়ার ইউপি চেয়ারম্যান নিয়ে জটিলতার কারণে সেখানে কম্বল পৌঁছানো যায়নি।
আপনার মতামত লিখুন :