Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

শিবগঞ্জে পায়ের চাপে জমির ফসল নষ্ট


দৈনিক পরিবার | সিফাত রানা জানুয়ারি ২০, ২০২৫, ০৯:৩৮ পিএম শিবগঞ্জে পায়ের চাপে জমির ফসল নষ্ট

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চৌকা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে উত্তেজনায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পাশে ছিল স্থানীয় মানুষ। তখন বিরূপ পরিস্থিতি না হলেও গতকাল শনিবার গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল হয়। শূন্যরেখার কাছে কয়েকশ মানুষ জড়ো হয়। এতে পায়ের চাপে নষ্ট হয় জমির ফসল।
কৃষকরা জানিয়েছেন, সীমান্তে শনিবারের এই ঘটনায় বিপুল ফসল নষ্ট হয়েছে বাংলাদেশিদের। ভুট্টা, পেঁয়াজ, সরিষার ফলন ধ্বংস হয়েছে। 
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পরিস্থিতি শান্ত হলে ক্ষতি নিরূপণ করা হবে। তিনদিন ধরে খেতের পাশেই বসেছিলাম। দুপুরের দিকে ভাত খেতে বসেছি। সেই সময়ই দু-তিন শ লোক এখান দিয়ে হেঁটে চলে গেলো। অত্যন্ত ক্ষতি হয়েছে আমার খেতের। আমার ভুট্ট খুঁচে (পদদলিত) শেষ করে দিয়েছে। এখন সেচ দিয়ে চেষ্টা করছি বাঁচানোর, বিক্ষুব্ধ মানুষকে থামানোর মতো কেউ ছিলো না।
স্থানীয় এক কৃষক মাসুদ রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সীমান্তে উত্তেজনার সময় প্রচুর লোক সমাগম হয়। এখানে রাস্তা সেরকম নেই। সেজন্য মানুষের ভিড় আসে কৃষকের জমিতে। এতে জমির অর্ধেক ফসলই নষ্ট হয়ে গেছে। এ বছর পেঁয়াজের বীজের যে দাম। বীজ কিনতেই আমাকে এক লাখ টাকা দিতে হয়েছে। এছাড়াও সার আছে, কীটনাশক আছে। আমরা সব মিলিয়ে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’ 
সীমান্তে মানুষের সমাগম কমাতে বিজিবি একবার তাড়া দেয়। ওই সময় আমার খেত দিয়ে হাজার হাজার মানুষ দৌড় দেয়। এতে অনেক টমেটো নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তো কিছুর করার নেই।’ সীমান্ত পরিস্থিতি শান্ত হলে ক্ষতি যাচাই করবে কৃষি বিভাগ। এর ভিত্তিতে কৃষকদের প্রণোদনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
এবিষয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া বলেন, সীমান্তে উত্তেজনায় সময় প্রচুর উৎসুক জনতা গিয়েছিল। ওই সময় মাঠগুলোতে সরিষা, পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসল ছিল। এতে সেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবো এবং তাঁরা যেভাবে বলবেন সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে 
তবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের বিনোদনপুর ইউনিয়নের চৌকা সীমান্তে ৫০০ হেক্টরের বেশি জমিতে চাষাবাদ করেন গ্রামের মানুষ।

Side banner