রংপুরের পীরগাছায় উপজেলা কৃষি উৎপাদন বেড়েছে দ্বিগুণের বেশি। বিশেষ করে সরিষা চাষে রীতিমতো বিপ্লব হয়েছে। সরিষা চাষে বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও বিস্তৃত মাঠ হলুদ রঙে ভরে উঠেছে।
কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় এ অঞ্চলে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সরিষার চাষ। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় এবার অধিক ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। সরিষার চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম হওয়ায় অনেক কৃষক এই ফসল চাষে ঝুঁকেছেন। এবার চলতি মৌসুমে ১ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
সরেজমিনে উপজেলার ৯নং কান্দি ইউনিয়নের, বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে সরিষা ফুলের সমারোহ।ফুলে ফুলে ভরে গেছে সরিষার ক্ষেত। পাঠক শিকড় গ্রামের ছলেমন ও দাদন গ্রামের মাইদুল ইসলাম মুকুল ও মনজু মিয়া জানান, এক বিঘা জমিতে সরিষা চাষে খরচ হয় ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকা। ফলন পাওয়া যায় ৫ থেকে ৬ মণ। প্রতিমণ সরিষার মূল্য এখন ৩ হাজার ৫০০ টাকা থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।আবার সময় লাগে অল্প। এতে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ইতোমধ্যে কোনো কোনো ক্ষেতে সরিষার দানা বাঁধতে শুরু করেছে।
এ ব্যাপারে পীরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম জানান, এবছর বিনামূল্যে সার ও বীজ পেয়ে চাষীরা উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করেন। এতে সরিষার খুবই ভালো ফলন পাওয়া গেছে। ২১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ কম হয়েছে আলু চাষ বৃদ্ধি হয়েছে।
তিনি আরো জানান আবাদকৃত সরিষার মধ্যে বারী জাতের সরিষা ১৪ বেশী আবাদ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম সরকার বলেন, সরিষার আবাদ বৃদ্ধি হলে তেলজাতীয় ফসলের উৎপাদন বাড়বে এবং তেলের আমদানিনির্ভরতা কমে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :