বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা জুড়ে সরিষা চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষক। ফলে মাঠ জুড়ে সরিষার হলুদ ফুল ফুটেছে সেজেছে অপরুপ সাজে। এদিকে সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধে মধু সংগ্রহে ভির জমাচ্ছে মৌমাছিরা। সরিষা ফুলের মৌ মৌ গন্ধের সুবাস ছড়ানোয় ফলে বিভিন্ন বয়সের ছেলে মেয়েরা এ দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করে ছাড়ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। অন্যদিকে বসে নেই মৌমাছির দল, তারাও দলবদ্ধ হয়ে গুন গুন গান গেয়ে মধু সংগ্রহ করছে সরিষার ফুল থেকে।
কৃষক জানিয়েছেন, অন্যান্য ফসলের থেকে পরিশ্রম কম হওয়ায় ও দাম ভালো থাকায় তারা সরিষার চাষে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরিষার ভালো ফলনের আশা করছেন এ অঞ্চলের কৃষক।
অফিস আরো জানিয়েছে এবার কৃষক দেশী সহ হাইব্রিড বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে। উল্লেখযোগ্য সরিষার জাত, বিনা-৯, টরি-৭,বারি-১৪,১৭ ও ১৮ জাত।
পাকুল্যার আলমগীর হোসেন নামের এক কৃষক জানান সরিষা রোপণের ৭৫/৮০ দিনের মধ্যে ফসল ঘরে উঠে। বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় ৮ থেকে ১০ মণ। তবে বিঘা প্রতি জমি সরিষা আবাদে হালচাষ, বীজ, সার ও শ্রমিক মিলে ৬/৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এ ছাড়াও সরিষা ওঠার পর ওই জমিগুলোতে বোরো ধান রোপণ করেন কৃষক। সরিষা কাটার সময়ে কিছু সরিষা জমিতে পরার কারণে উর্বর ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এতে বোরো ধানের ফলনও ভালো হয়।
সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, বাজারে সয়াবিন সহ অন্যান্য ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণে ভুমিকা রাখছে সরিষার তেল। এবারও সরিষার চাষে ব্যাপক আগ্রহ দেখা দিয়েছে। ২ হাজার ৪'শ ৫০জন কৃষককে বিনামূল্যে কৃষি উপকরণ সরিষা, সার-বিজ প্রনোদনা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ভালো ফলনে সর্বদাই কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের লোকজন।
আপনার মতামত লিখুন :