কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক (হর্টিকালচার সেন্টার, যশোর) কৃষিবিদ দিপঙ্কর দাস বলেছেন, আমাদের অর্থনীতির প্রধানত চালিকাশক্তি কৃষি। তাই কৃষিতে সমৃদ্ধি ঘটাতে পারলে দেশ হবে সমৃদ্ধ। আমাদের জলবায়ু, জীব ও বৈচিত্র বাঁচাতে হলে কৃষি সমৃদ্ধির দিকে বেশি করে নজর দিতে হবে। আর এই কাজটি করতে হবে আমাদের কৃষক ভাইদের। যাদের প্রচেষ্টায় আমরা কৃষিতে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। ড্রাগন চাষের সম্ভাবনাকে আমরা আবারো ফিরে আনতে চাই।
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি অফিসার হিসেবে জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পরিচালক (বীজ শস্য সংরক্ষণ) কৃষিবিদ সমিরন বিশ্বাস।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, কৃষিতে নিত্যনতুন চাষাবাদে যুক্ত হচ্ছে পুষ্টি সমৃদ্ধ নানাজাতের উপকারী ফল। এগুলো কিন্তু আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল।
তিনি কৃষকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা আপনাদের কোনো ফসল বা চাষাবাদ এর বিষয় জোর করে চাপিয়ে দেবো না। বরং যে চাষাবাদ লাভজনক ও উপকারী তা আপনাদের বেছে নিতে হবে বলেন এই কৃষিবিদ।
তিনি আরও বলেন, শুধু কৃষকসংগঠন হলে হবে না। কৃষক একত্রিত হলেও হবেনা। চাই সুষ্ঠু পরিকল্পনামাফিক চাষাবাদ। তবেই আমরা কৃষিতে কাঙ্ক্ষিত সফলতা অর্জন করতে পারবো। আমরা আপনাদের সম্ভাব্য সব ধরনের পরামর্শ ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার পাশাপাশি সরকারি তরফে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো বলেন তিনি।
'কৃষিই সমৃদ্ধি'এই প্রতিপাদ্যে যশোরাঞ্চলের টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরে কৃষক সংগঠনে অবহিতকরণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও মূল্যায়ন শীর্ষক এই কর্মশালা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেদের বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান, সহকারি পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সালাউদ্দিন আল মামুন।
আরও বক্তব্য রাখেন, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আয়ুব হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, আফসানা হক।
লক্ষীপুর গ্রামের সফল উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলামের 'মেসার্স পিয়াল অ্যান্ড সুবহি কৃষি ফার্ম' চত্বরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।সোমবার সকালে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপজেলার পদ্মপুকুর, লাউজানি ও লক্ষ্মীপুর ব্লকের ৩টি কৃষক সংগঠনের ৯০ জন নারী-পুরুষ কৃষক অংশগ্রহণ করেন।
এসময় তিনজন কৃষক মনায়ন হোসেন, মহসিন আলী ও সাহেব আলী বক্তব্য রাখেন।
আপনার মতামত লিখুন :