বগুড়ার সোনাতলা উপজেলায় রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই করতে জোরেশোরে লেগে পড়েছে কৃষক। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন, এবার এ উপজেলায় ৯ হাজার ৭শ' ১৫হেঃ ফসলি জমিতে রোপা আমনের আবাদ করেছে কৃষক।
কৃষক জানিয়েছেন, আমন ধানের বাম্পার ফলন হলেও শ্রমিক সংকটের কারণে কিছুটা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এর কারণ হিসেবে বলেন, আমাদের অঞ্চলের কৃষক বেশি টাকার আশায় অন্য উপজেলায় গিয়ে ধান কাটছে। এবার আমন ধান কাটতেই লেগেছে বিঘা প্রতি ৩ হাজার টাকা।
কৃষকরা আরো জানায় ধান কেটে জমিতে দু'একদিন রাখতে হয় শুকানোর জন্য। এরপরে ধান ও খর শুকিয়ে গেলে কেউবা জমিতেই নেটিং পদ্ধতিতে কেউবা বাড়িতে ধান মাড়াই করে।
এদিকে গো খাদ্যের জন্য খর শুকানো ও ধান ঘরে তুলে সিদ্ধ শুকানোয় গ্রাম্য গৃহবধূরা একেবারেই ব্যস্ত। এবারের উল্লেখযোগ্য ধান গুলো এর মধ্যে স্বর্ণা-৫, বিনা-১৭, বিআর-৯০,ব্রি-১০০,১০৩ সহ হাইব্রিড নানান জাতের সেই সাথে সুগন্ধি জাতের ধান চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের ক্ষেতে তেমন খুব একটা রোগবালাই দেখা দেয়নি।
উপজেলার চিল্লিপাড়া গ্রামের কৃষক পিযুষ চন্দ্র রায়, ইয়াছিন আলী, বাড়িয়া হাটের সুশান্ত কর্মকার জানান, এবার পরিমাণ মতো বৃষ্টি ও ধানের গাছে পরিমিতভাবে রোদ লাগায় রোগবালাই কম হয়েছে। ধান গাছ ও শীষের অবস্থা খুবই ভালো,বাম্পার ফলন হয়েছে তবে এখন ১২শ'থেকে ১৪শ' টাকায় শ্রেণী ভেদে ধান বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোনাতলা উপজেলা কৃষিবিদ ও কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে রোপাআমন ক্ষেতে রোগবালাই কম, কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শে আবাদের পরিচর্যা করায় এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :