আলু রোপনের ভরা মৌসুম। আলু রোপনকে কেন্দ্র করে রংপুরের পীরগাছায় কৃষক-কৃষাণীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। কৃষি যন্ত্র দিয়ে জমি চাষ করা, জৈব ও রাসায়নিক সার ব্যবহার জমি প্রস্তুত করা।
সুপ্রীম সীড কোল্ড স্টোরে কৃষক সকালে আসেন আর গভীর রাতে ফিরছেন খালি হাতে। কৃষকরা তাদের সংরক্ষিত আলু বীজ সময়মতো পাচ্ছেন না। ওই স্টোরে অতিরিক্ত ওজনের বস্তা রাখারও অভিযোগ শ্রমিকদের। মনে হচ্ছে সুপ্রীম সীড কোল্ড স্টোর কৃষক-শ্রমিক হয়রানির কারখানা!
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার রংপুর-পাওটানাহাট সড়ক সংলগ্ন সুপ্রীম সীড কোল্ড স্টোরে কৃষকরা তাদের উৎপাদিত আলু বীজ সংরক্ষণ করে সময়মতো পাচ্ছেন না।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের স্টোরে ৬৫ কেজি ওজনের ৯৫ হাজার বস্তা বীজ আলু ও ৯৫ হাজার বস্তা খাওয়া আলু সংরক্ষণ আছে। স্টোরের ভেতরে অসংখ্য কৃষক তাদের আলু বীজ নিতে এসে কেউ ঘোরাফেরা করছেন কেউবা আবার শুয়ে-বসে আছেন। কখন তারা তাদের রক্ষিত বীজ পাবেন কেউই জানেন না। কৃষকরা আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আলু রোপন করতে বিলম্ব হবে। রোপন বিলম্বের কারণে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
বীজ নিতে আসা পারুল ইউনিয়নের শহিদুল ইসলাম জানান, নির্ধারিত সময়ে রশিদ কেটেও বীজ পাচ্ছি না। সিন্ডিকেট হচ্ছে বেশি। আজকে দেওয়ার কথা বলে ৩/৪দিন পার হলেও আলু বীজ দিচ্ছেন না। স্টোরে ঠিকমতো কেউ দায়িত্ব পালন করছেন না।
মোকছেদুল ইসলাম নামে আরেক কৃষক জানান, আমাকে ২৫তারিখে বীজ দেওয়ার কথা ছিল কিন্তু ২৫তারিখে এসে শুনি স্টোরে আলু নেই। এমনকি আমার কাগজপত্র খুঁজেও পাচ্ছেন না স্টোর ম্যানেজার। আমার জমি প্রস্তুত কিন্তু আলু বীজ পাচ্ছিনা।
প্রতিদিন অর্ধশত কৃষক আলু বীজ উত্তোলনের জন্য সুপ্রীম সীড কোল্ড স্টোরে ভীড় করছেন। স্থানীয়রা বলেন, প্রতিদিন শতাধিক কৃষক আলু বীজ নিতে এসে খালি হাতে ফিরে যান। কৃষক হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে কোল্ড স্টোরের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, আলু সংরক্ষণ ও উত্তোলন এই দুই সময়ে একটু ভীড় বেশি হয়। তবে আমরা আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে এ সমস্যা আর থাকবে না।
আপনার মতামত লিখুন :