ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চলছে গোল আলু রোপণ সময়। উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আলুর জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে চাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও আলু বীজের চড়া দামে দিশাহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষের মৌসুম শুরু হলেও দামের কারণে চাষিদের মাথায় হাত। সরকারি ডিলার পর্য়ায়ে আগাম জাতের আলু বীজের সরবরাহ না থাকায় বাজারে দাম লাগামহীন হয়েছে।
উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কৃষক মোর্শেদ মিয়া, কৃষক হাবিব মিয়াসহ একাধিক আলু চাষিরা জানান, মৌসুমে যে আলু কৃষকের থেকে ব্যবসায়ীরা ২০ টাকা কেজি নিয়েছিল, সেই আলুই রোপণ মৌসুমে কৃষকদের কাছে ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছে।
চাষিদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীরা চাহিদার তুলনায় কম আলু হিমাগার থেকে বের করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করছে। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি নেই বলে ভুক্তভোগীরা জানান।
তারা ব্লক সুপারভাইজার বা কৃষি বিভাগ তাদের কোন খোঁজ খবর রাখেন না। তারা মাঠে না এসে অফিসে বসে কাগুজে রিপোর্ট করেন।
মানিকপুর, উজানচর ও রুপসদী ইউপিতে খোজ নিয়ে জানা গেছে, সার, আলু রোপণ পরিচর্যা, কীটনাশক এবং উত্তোলন পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিপুল খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। পরে যদি আবহাওয়া বৈরী হয় এবং মূলে পচন ধরে তাহলে কৃষককে পথে বসতে হবে।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে প্রায় গোল আলু ৩১০ হেক্টর এবং মিষ্টি লম্বা আলু ১৬০ হেক্টর জমিতে রোপণ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাসির উদ্দিন বলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আলু বীজের ডিলার না থাকায় চাষিদের অন্য এলাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে তাই খরচটা বেশি পড়ছে। বিষয়টি আমাদের হাতে নেই। তারপরও আমি তদারকির এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব যাতে আগামী বছর এ সমস্যা তৈরি না হয়।
একাধিক চাষিদের অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে ফসল বিক্রির সময় ন্যায্যমূল্য পান না অথচ সার বীজ কিটনাশক ওষুধসহ সব কিছুই চড়া দামে কিনতে হয় চাষিদের। সরকার যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে থাকলে এবার মৌসুমি আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাও ব্যহত হতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :