বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় জমিতে আলু রোপণ করছেন কৃষক। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হয়তবা অল্পদিনের মধ্যেই ক'দিন আগের রোপণকৃত নতুন আলুর দেখা মিলবে বাজারে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এ উপজেলায় আলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর। তবে মাস খানেক আগের কৃষকের লাগানো আলুর গাছ ছড়িয়ে সবুজের রঙ ধারণ করেছে। ফলে এই আগাম আলু কৃষকেরা চড়া দামে বিক্রি করবে ৩ দিন পর নবান্ন উৎসবে।
এদিকে আড়িয়াঘাট এলাকার কৃষক আশরাফ আলী জানান, সম্প্রতি কোল্ডস্টোরেজ ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারণে এবার ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে আলুর বীজ কিনতে হচ্ছে। সেই সাথে বেড়েছে কিট নাশক ও রাসায়নিক সারের দাম। সবমিলিয়ে জমি তৈরি করে আলু রোপণে একেবারেই ব্যাস্ত সময় পার করছেন এ অঞ্চলের কৃষক। তবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের চড়া দামের কারণে ফসল উঠলে কতটুকু লভ্যাংশ ঘরে আসবে এটিরো চলছে হিসেব নিকেশ।
কৃষক আনারুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগাম আলু চাষ করতে গিয়ে কিছুটা বিড়ম্বনার পড়তে হয়েছে। আলু রোপণে উপযুক্ত জমিতে গত ক'দিন আগের বৃষ্টিতে কাঁদা হয়েছিল। তবে রৌদ্রের কারণে সেই জমি শুকালে আলু রোপন করছি।
তিনি আরও বলেন, বিঘা প্রতি আলু চাষে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা ব্যায় হতে পারে। সব মিলিয়ে আগামীতে আলুর যদি বাম্পার ফলন ও ভালো বাজার দর মিললে হয়তো খাওয়া চলবে এবং অবশিষ্ট আলু বিক্রি করে হবে সংসারের উন্নতি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আলুর ভালো ফলন হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই সাথে আলুর ভালো ফলনে আমাদের মাঠ কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, এ উপজেলা এবার আলুর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ হাজার ১ শত ২০ হেক্টর। তবে তথ্য অনুযায়ী ইতিমধ্যেই ৩৫ হেক্টর জমিতে আলু রোপণ করেছে কৃষক।
আপনার মতামত লিখুন :