বুকভরা আশা নিয়ে সংসারে খাদ্যের ঘাটতি তথা আয় উন্নতির জন্য শ্রাবণ ভাদ্র মাসে বগুড়ার সোনাতলার কৃষকেরা জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলেন। তবে ধীরে ধীরে চারাই ধানে পরিণত হয়ে পেকে সোনালী রং ধারণ করেছে। শুধু অপেক্ষা কেটে মাড়াই করে গোলাই তোলা। মুহূর্তে স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার বাঁধ সেধেছে ঝড়ো বৃষ্টি, হঠাৎ কদিন ভোরে আকস্মিক বৃষ্টি সেই সাথে বাতাসে উপজেলার অনেকেরেই জমির রোপা আমন ধান হেলে পানিতে পড়ে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে।
ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা হতাশা নিয়ে মাঠের পড়ে থাকা পাকা ধান অপলোক দৃষ্টিতে দেখছে আর ভাবছে কি করে লোকসান পুষিয়ে উঠা যায় এমন ভাবনায় চোখে মুখে বিষাদের ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠের রোপা আমন পাকা ধান হেলে পড়ে আছে পানিতে তবে দিন দিন সেই পড়ে থাকা ধান চিটাই রুপ নিবে বলে জানান কৃষক।
বালুয়া ইউনিয়নের রশিদপুরের আঃ রাজ্জাক বলেন, আমি এবার ২ বিঘা জমিতে গুটি স্বর্না জাতের ধান রোপণ করেছিলাম হয়েছিল ধানের বাম্পার ফলন কিন্তু বিধি বাম জমির ধান পেকে জমিতেই থাকলো।
চোখ ছলছল অবস্থায় বললেন, ঘরে আর তুলতে পারলাম না।
হায়দার আলী বলেন, এবার ধান খুব ভালো হয়েছিল তাতে হয়তো বিঘাপ্রতি ১৪/১৫ হারে ফলন হতো। তবে ধানের শীষ ঝড়ে হেলে পানিতে ডুবে আছে। এতে করে হয়তবা বর্তমান বেছে বেছে কাটলে ৬/৭মন হরে ধান পাওয়া সম্ভব।
এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছেন এবার হঠাৎ করে ঝড়ো বাতাসে এ উপজেলায় ১৭/১৮হেক্টর জমির ধান হেলে পড়ে নষ্টের পথে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ সোহরাব হোসেন বলেন, রোপা আমন মৌসুমে হঠাৎ ঝড়বৃষ্টির কারণে কৃষকদের ধানের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা।
আপনার মতামত লিখুন :