বগুড়া সোনাতলা উপজেলায় দিগন্ত জুড়ে ফসলি জমিতে বোরো ধানগুলো বাতাসে দোল খাচ্ছে। ফলে ক্ষেতের ধান পেকে সোনালী রং ধারন করেছে। সকালে মাঠে গেলে মনে হবে কৃষকের বুক ভরা লালিত স্বপ্ন আর ক’দিন পর উঠবে ঘরে।
কৃষকেরা জানান ধারদেনা করে জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছি। ধান বিক্রির টাকায় ধারদেনাও শোধ হবে সেই সাথে গৃহিণী সহ সংসারের পছন্দের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করা যাবে। এ উপজেলার কৃষকরা প্রতিক্ষণ আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে তবে আকাশে মেঘ জমলেই কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। ফলে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক তাদের ফসলি জমির ধান কেটে একেবারেই নির্বিঘ্নে ঘরে তুলতে পারবে।
জানা যায়, মাঘ মাসের শেষের দিকে রোপন করেছেন বোরো ধান। তবে উপজেলার কিছু জমিতে ধান কাটার সময়ে এসে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। এতে উদ্বিগ্ন হবার কারণ নেই বলে জানিয়েছেন কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আরো জানিয়েছে এবার এ উপজেলায় ১০ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছে কৃষক। যা গতবারের চেয়ে এবার ১১শ ২০হেক্টর বেশি এবং ধান রোপণের পর থেকেই অফিসের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য ধান,ব্রি ধান-২৮/২৯,ব্রি ধান-১০০/১০২,ব্রি ধান-১০৫/১০৭ সহ আরো অনেক আধুনিক জাতের বোরো ধান সমুহ রোপণ করেছে কৃষক।
পশ্চিম তেকানীর সফল কৃষক মহিদুল ইসলাম। তিনি অবসর সময়ে হরিখালী বাজারে ফটোকপি মেশিনে টুকটাক রোজগার করেন। তিনি জানান, বোরো ধানের বিজ কিনে মাঠে ছড়িয়ে দিয়ে সেটি চারায় রুপান্তরিত হলে সেই ধানের চারা শ্রমিক দিয়ে উঠিয়ে জমিতে লাগানো হয়। আজ মাঠে গিয়ে দেখি ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় মন জুড়িয়ে আছে। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো ধান চারা থেকে রোপণ পরিচর্যা সহ কেটে ঘরে তোলাতে খরচ দাড়াবে ১০/১১হাজার টাকা তবে ধানের পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাচ্ছে আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘাতেই ২০/২৫মন হাড়ে ধান ঘরে উঠবে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, মাঠ সুপারভাইজার ও কৃষক জানিয়েছেন এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে স্বস্তিতে কৃষক বোরো ধান কেটে ঘরে তুলতে পারবে।
আপনার মতামত লিখুন :