মেহেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হয়েছে ক্যাপসিকামের। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে চলতি বছর জেলায় প্রায় ১০ বিঘা জমিতে বিদেশী সবজি ক্যাপসিকামের চাষ হয়েছে। অনুকূল আবহাওয়া ও উপযুক্ত মাটি হওয়ায় কৃষকরা এ সবজির চাষাবাদ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে ক্যাপসিকাম চাষে ১০-১৫ হাজার টাকা খরচ হলেও ৭০-৮০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। মেহেরপুর সহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে ক্যাপসিকাম। তবে এ সবজিটি খেতে অভ্যস্ত না হওয়ায় স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি কম হয়। সেজন্য দূর দূরান্তে ক্যাপসিকাম বিক্রি করায় লাভের পরিমান কিছুটা কম হচ্ছে। প্রতি কেজি ক্যাপসিকাম ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা যায়। দোআশ ও বেলে দোআশ মাটি ক্যাপসিকাম চাষের জন্য উত্তম। প্রায় সব মৌসুমেই ক্যাপসিকাম চাষ সম্ভব। তবে অক্টোবর থেকে নভেম্বর বীজ বপন করার উপযোগী সময়।
এবিষয়ে কথা হয় জেলার গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের ক্যাপসিকাম চাষী মোস্তফার সাথে তিনি জানান, ইউটিউব থেকে দেখে এবছর আমি ৭ শতক জমিতে মালচিং পদ্ধতিতে ক্যাপসিকাম চাষ শুরু করেছি। প্রতিটি গাছেই এখন ফুল আর ফল দেখা যাচ্ছে। যদি রোগ বালাই ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে না পড়ে, তাহলে ক্যাপসিকাম বিক্রি করে ৪০-৪৫ হাজার টাকা হতে পারে।
একই এলাকার চাষী মিজান জানান, এই প্রথম আমাদের মাঠে ক্যাপসিকাম চাষ দেখছি। ফলও ভালো হয়েছে। তাছাড়া ক্যাপসিকাম অনেক লাভজনক বলেও জানতে পেরেছি। বিশেষ করে হোটেল ও রেস্টুরেন্টগুলোতে নাকি এর বেশ চাহিদা রয়েছে। এটা দেখে আগ্রহী হব এবং আগামীতে আমিও ক্যাপসিকাম চাষ করব আশা করছি।
আরেক চাষী জানান, আল্প খরচে ক্যাপসিকাম চাষ অনেক ভালো হয়েছে। এটা চাষ করলে মনে হয় লাভ হবে।
আমরা চাষীরা নতুন সবজি চাষ করলে ঠিক মতো বাজার পায়না। যদি বাজারটা ভালো হয়। তাহলে ক্যাপসিকাম চাষ করা যাবে।
পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ বিদেশী সবজি ক্যাপসিকাম দেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই জেলা-ব্যাপী ক্যাপসিকাম চাষ ছড়িয়ে দিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাজ করছে
গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেন, আমরা যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকদের বিভিন্ন ধরনের বিষ সহায়তা থেকে শুরু করে রাসায়নিক সারসহ বিভিন্ন উপকরন দিয়ে সহায়তা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :