Daily Poribar
Bongosoft Ltd.
ঢাকা রবিবার, ০৯ মার্চ, ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১
শনিবার ও মঙ্গলবার বসে লাল মরিচের হাট

ফুলছড়ি চরের লাল মরিচের চাহিদা সারাদেশে


দৈনিক পরিবার | শাহিন নুরী মার্চ ৩, ২০২৫, ১১:১৬ পিএম ফুলছড়ি চরের লাল মরিচের চাহিদা সারাদেশে

গাইবান্ধার লাল মরিচ বা শুকনো মরিচের কদর রয়েছে দেশব্যাপী। ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত জেলার চার উপজেলার চর-দ্বীপচরের শত শত বিঘা জমিতে মরিচের ব্যাপক ফলন হয়ে থাকে। সাধারণত বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর পরই চরের পলিমাটিতে বীজ ছিটিয়ে দু’তিনবার নিড়ানী দিলেই বিনা সারে বিস্তর ফলন হয় মরিচের।
ফুলছড়ি উপজেলায় মরিচচাষ বেশি হওয়ায় এখানে জেলার একমাত্র মরিচের হাট বসে। গজারিয়া ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্র সংলগ্ন হাটে বিভিন্ন চর থেকে প্রচুর মরিচ আসে। ‘ফুলছড়ি মরিচ হাট’ নামে পরিচিত এই হাট এখন লাল মরিচের আমদানিতে লালে লাল হয়ে উঠেছে। গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে কৃষকরা মরিচ বিক্রি করতে আসেন।
সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার দুই দিন সকাল ৭টা থেকে হাট বসে। প্রতি হাটে ২ হাজার মণের বেশি মরিচ বিক্রি হয় বলে জানান হাট ইজারাদার। হাটে গিয়ে দেখা যায়, সূর্য ওঠার পর থেকেই হাটে আসতে শুরু করেছে মরিচ। নৌকা এবং ঘোড়ার গাড়িতে করে ফুলছড়ি উপজেলার টেংরাকান্দি, মোল্লারচর, খোলাবাড়ি, ফজলুপুর, এরেন্ডবাড়ি, উড়িয়া, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চরাঞ্চল এবং জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জের বকশিগঞ্জের কয়েকটি চর থেকে কৃষক ও পাইকাররা মরিচ বিক্রি করতে এসেছেন। লাল টুকটুকে মরিচে সাজানো বস্তায় কাণায় কাণায় ভরে উঠেছে হাট।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ হাটের এক প্রতিনিধি বলেন, ফুলছড়ি হাটে  দেশী,  হাইব্রিড, বগুড়ার জাত ও স্থানীয় জাতের শুকনো মরিচ বেশি আমদানি হয়। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে যেমন বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরাও এ হাট থেকে শুকনো মরিচ কিনে নিয়ে যান।
পার্শ্ববর্তী জেলা বগুড়া থেকে ফুলছড়ি হাটে মরিচ কিনতে এসেছেন সিরাজুল ইসলাম ব্যাপারী। তিনি জানান, ভোরবেলা ট্রাক নিয়ে এ হাটে মরিচ কিনতে এসেছেন। এবার হাটে মরিচের দাম খুব চড়া। তবে ফুলছড়ির মরিচ ভালোমানের।
পাইকারি মরিচ কেনার জন্য দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে এসেছেন ব্যাপারী খলিলুর রহমান (৪৫)। তিনি বলেন, প্রতি বছরই এ হাট থেকে শুকনা মরিচ কিনে দিনাজপুরের বিভিন্ন হাট-বাজারের বিক্রি করেন।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. খোরশেদ আলম জানান, গাইবান্ধার সাতটি উপজেলায় যে পরিমাণ মরিচের চাষ হয় তার অর্ধেকই উৎপন্ন হয় ফুলছড়ি উপজেলায়। আবহাওয়া ও চরের উর্বর মাটিতে দিন দিন মরিচচাষের পরিমাণ বাড়ছে। চরের লোকজনও মরিচচাষে ঝুঁকছে। কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শসহ সবধরনের কারিগরি সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

Side banner