গাইবান্ধায় পেশাজীবী মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত ছিলেন সহকারি কমিশনার সাদরুল আলম। সরকারি চাকরির আগে সাদরুল আলম মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে সিঙ্গাপুরের স্টেলার শিপ ম্যানেজমেন্ট পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন। ৪ ডিসেম্বর ২০২২ সালে সাদরুল আলম ৪০ তম বিসিএস এ প্রথম প্রশাসনিক অফিসার হিসাবে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় রংপুরে।
বিভাগীয় কার্যালয় রংপুর থেকে গাইবান্ধা জেলায় যোগদান করেন ৮ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে। সহকারি কমিশনার হিসেবে যোগদান করে প্রথমে তিনি গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখায় সহকারি কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পরে ২০২৪ সালের ২২-০৮-২০২৪ ইং তারিখে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট গাইবান্ধা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিযুক্ত হন।
ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে নিযুক্ত হয়ে পেশাজীবী মানুষের মনে তিনি স্থান করে নেন একজন সুদক্ষ স্মার্ট অফিসার হিসাবে। ২ জানুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখ বৃহস্পতিবার গাইবান্ধায় তার শেষ কর্ম দিবসে তিনি বলেন, গাইবান্ধা মনোরম সবুজ এর অরণ্যে ভরপুর একটি জেলা। এ জেলার সকল মানুষ শান্তিপ্রিয়। সকল পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মেশার সুযোগ হয়েছে, সকল পেশাজীবির মানুষকে আমার কাছে ভালো লেগেছে। তবে গাইবান্ধা জেলার মানুষকে আরও সহনশীল ও ধৈর্যশীল হতে হবে। একটুতেই মামলা মোকদ্দমায় না জড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলেন তিনি। মামলা মোকদ্দমা থেকে বিরত থাকলে গাইবান্ধা জেলা হবে উত্তরবঙ্গের একটি আদর্শ ও শান্তিপূর্ণ জেলা।
সাদরুল আলম বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বৈলর ইউনিয়ন এর উজান বৈলর গ্রামের সন্তান। গাইবান্ধা জেলায় যোগদান করার পর থেকে তার মনোমুগ্ধকর ব্যবহার এবং আচার-আচরণে মানুষ মুগ্ধ ও বিমোহিত হয়েছেন।
গাইবান্ধার বর্তমান জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বলেন, সাদরুল আলম একজন বিচক্ষণ ও মেধাবী অফিসার। তিনি খুব সহজেই মানুষের সঙ্গে মিশতে পারতেন। তার বিচক্ষণতা ও দূরদর্শিতায় কারণে ভবিষ্যতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে গেলে আরো ভালো করবেন এই প্রত্যাশা করি। নিঃসন্দেহে তিনি একজন ভালো অফিসার। বর্তমানে তাকে রংপুর বিভাগের বিভাগীয় কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে। সাদরুল আলমের ভবিষ্যত চাকুরী জীবনে আরো দক্ষতার সহিত উন্নতি ও সাফল্য কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :