রাজশাহীর বাগমারায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ৫টি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন আইন ২০১৩ সংশোধিত (২০০৯) আইনে মোবাইল কোট পরিচালনায় এসব অবৈধ ইট ভাটার মধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২টি ইট ভাটায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে মাহিন ব্রিকস এর ১,০০,০০০ লাখ এবং কেএআর ব্রিকসের ৫০,০০০ হাজার টাকা। পাশাপাশি ৩টি ইটভাটায় এক্সেভেটর দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হোসেন। এ অভিযানে জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন সহ আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার দিন ব্যাপী উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ৫টি অবৈধ ইট ভাটায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ইট পুড়ানোর চুলি গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। গুড়িয়ে দেয়া অবৈধ ড্রাম চিমনী ইট ভাটাগুলোর মধ্যে শালমারা-বাঁইগাছা এলাকার সিয়াম ব্রিকস, এমএনকে ব্রিকস এবং এসএমএআই ব্রিকসে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়। উক্ত অভিযানে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ওইসব ইট ভাটার ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
অবৈধ ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওই অভিযানে ৫টি ভাটার মধ্যে ২টি ইট ভাটার দেড় লাখ টাকা জরিমান করা হয়। বাকি তিনটি ভাটায় অভিযানের সময় ভাটার স্থাপনা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় ইট পোড়ানোয় পরিবেশের ক্ষতি করায় উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে এলাকাবাসী।এরই ধারাবাহিকতায় অবৈধ ভাবে ইট ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠ এবং ড্রাম চিমনী ব্যবহারের অভিযোগে জেলা বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বাগমারা উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন।রাজশাহী জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, ড্রাম চিমনী ইটভাটা পরিবেশ নষ্ট করছে। অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ওই সকল ইট ভাটায় দিব্যি কাঠ পুড়ানো হচ্ছে। যা পরিবেশের জন্য হুমকী। অবৈধ ভাবে তৈরি ইট ভাটায় অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রায় সময় ওই সকল ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়। গত বছরেও উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। এবারও অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবৈধ প্রতিটি ইট ভাটায় অভিযান পরিচালিত হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হোসেন বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে অর্থদন্ডের পাশাপাশি ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। একই সাথে অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :