খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, খুলনা স্টীল গমের সাইলোটি আন্তর্জাতিক মানের উপযোগি করে নির্মাণ করা হচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা যাবে। এ সংরক্ষণাগারে দীর্ঘ তিন বছর সময় গমের এর গুণগতমান বজায় থাকবে। এটিতে স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ায় গম সংরক্ষণ, লোডিং এবং আনলোডিং করা হবে। ফলে খাদ্যশস্য নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। দেশে আরও কয়েকটি অঞ্চলে একই ধরণের সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আজ (শনিবার) সকালে খুলনার মহেশ্বরপাশা আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন স্টীল সাইলোর কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন শেষে কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় একথা বলেন। এসময় খুলনার আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের ম্যানেজার প্রকৌশলী ওমর ফারুক, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ তাজুল ইসলামসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ৩'শ ৫৫ কোটি ৯১ লাখ সাত হাজার ৩'শ ৮৯ টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্টীল সাইলোর নির্মাণ কাজ ডিসেম্বর-২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। হাতের স্পর্শ ছাড়াই প্রযুক্তি মেশিনদ্বারা সম্পূর্ণ এই স্টীল গমের সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৭৬ হাজার দুইশত মেট্রিক টন। বাংলাদেশ সরকার ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের যৌথ সহযোগিতায় আধুনিক গমের সংরক্ষণাগার নির্মিত হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :